শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুর ২৪তম স্প্যান ‘৫-এফ’ সেতুর ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের উপর বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো ৩ হাজার ৬০০ মিটার (৩.৬ কিলোমিটার)। একের পর এক স্প্যান বসিয়ে এভাবেই স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ হচ্ছে।
২৩ তম স্প্যান বসানোর ৯ দিনের মাথায় ২৪তম স্প্যানটি বসানো সম্ভব হলো। গাড়ি কিংবা ট্রেনে চড়ে পদ্মাপাড়ি বাস্তবে রূপ নেবে আর ১৭টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে স্প্যান বসানো শেষ হয়। মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সকাল ৯টায় ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে অস্থায়ীভাবে রাখা ১২ ও ১৩ নম্বর পিলার থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন নিয়ে রওনা করে। সেতুর ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে।
অন্য সূত্রে জানা যায়, ভাসমান ক্রেনটি নোঙর করে পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। তবে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটিকে নির্দিষ্ট স্থানে নোঙর করতে বেশি সময় লেগেছে। কাদা মাটির স্তরে ক্যাবলের মাধ্যমে অ্যাংকরিং করতে সমস্যা পোহাতে হয় প্রকৌশলীদের। জটিলতা শেষে দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর রাখা হয় স্প্যানটিকে। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। এবং রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে আমাদের এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
0 Comments